Skip to main content

জৌনপুরী ছেলছেলার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সংক্ষিপ্ত অজিফা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জৈনপুরী ছেলছেলার
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর সংক্ষিপ্ত অজিফা

(১) ফজরের নামাজের সুন্নত পড়িয়া ৪১ বার সুরা ফাতেহা অর্থাৎ আলহামদু লিল্লাহ পড়িবে। উক্ত সুরা পড়িবার নিয়ম এই, "বিসমিল্লাহের" মিমের সঙ্গে আলহামদো'র "লাম"-কে মিলাইয়া, যথা-- "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমিল হামদো লিল্লাহে রাব্বিল আলামিন" (শেষ পর্যন্ত) এবং আমিন, আমিন, আমিন তিনবার বলিবে।

(২) ফজর নামাজের পর নিম্নোক্ত দোয়া ১০০ বার পড়িবে.
الااله الله الملك الحق المبين
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লহুল মালিকুল হাক্কুল মুবিন

 অতঃপর  নিম্নোক্ত দোয়া ১০০ বার পড়িবে।
   لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد يحيي يميت وهو على كل شيء قدير
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লহুল ওয়াহাদাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মূলকু অ-লাহুল হামদো ইউহয়ী ইউমিতো অ-হুয়া আ'লা কুল্লে শাইয়ীন কাদীর।

অতঃপর নিম্নোক্ত দোয়া ১০০ বার পড়িবে।
سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم وبحمده استغفر الله
উচ্চারণঃ ছোবহানাল্লাহে অ-বেহামদেহী ছোবহানাল্লাহেল আজিম, অ-বেহামদেহী আছতাগফেরুল্লাহে ।
   প্রকাশ থাকে যে প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজ শেষ করিয়া চারি "কোল" ৪/৫ বার করিয়া পড়ার অভ্যাস সর্বদা পালন করিতেই হইবে।

(৩) সূর্য উদয় হওয়ার সামান্য পূর্বে মোছাব্বেআতে আশার পড়িবে।

** অতঃপর, নক্ শবন্দিয়া ও মুজাদ্দেদিয়া তরিকার জেকের করিবে।
জেকেরঃ_
* লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। ২০০ বার।
* আল্লাহু আল্লাহ। ২০০ বার।
* আল্লাহ আল্লাহ। ২০০ বার।

(৪) কোরআন শরীফ কমপক্ষে অর্ধ পারা পরিবে।

(৫) এশরাক ও চাশ্ ত্ নামাজ পড়িবে।    সকল প্রকার নামাজের বিস্তারিত আমরা পরে আপনাদের খেদমতে পেশ করবো ইনশাআল্লাহ।

(৬) জোহোর নামাজ পড়িবার পরে নিম্নোক্ত দোয়া ৫০০ শত বার নূন্যতম ২৫ বার পড়িবে।
حسبي الله ونعم الوكيل نعم المولى ونعم النصير
উচ্চারণঃ হাছবিয়াল্লাহো অ-নে'মাল অকিল, নে'মাল মাওলা অ-নে'মান নাছির।
প্রত্যেক দোয়া পাঠ করিবার পূর্বে দশ দশ বার দরুদ শরীফ পাঠ করিতে হইবে।

(৭) আছরের নামাজের পর নিম্নোক্ত দোয়া ৫০০ বার সময় অভাবে ১০০ বার পাঠ করিবে।
سبحان الله والحمد لله ولا اله الله والله اكبر ولا حول ولا قوة إلا بالله العلي العظيم
উচ্চারণঃ ছোবহানাল্লাহে অলহামদোলিল্লাহে অলা ইলাহা ইল্লাল্লহুল অল্লাহু আকবর অলা হাওলা অলা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিউল আজীম।
(৮) অতঃপর, মোছাব্বেআতে আশার পাঠ করিবে।
(৯) মাগরিব নামাজের পর ছয় রাকাআত আউয়াবিনের নফল নামাজ তিন সালামে পড়িবে।
অতঃপর, নক্ শেবন্দিয়া তরিকানুযায়ী জেকের করিবে।
এবং ১০০ শত বার কালিমা পাঠ করিবে।
لا اله الا الله محمد رسول الله
উচ্চারণঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ, (দঃ)

(১০) এশার নামাজের পর নিম্নোক্ত দরুদ শরীফ ৫০০ শত বার পরিবে। (সময় অভাবে ১০০ বার পাঠ করিবে)
اللهم صلي على سيدنا محمد عدد ما فى علم الله صلاة دائمة بدوام ملك الله
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সল্লিআলা সাইয়েদেনা মুহাম্মাদিন আদাদা মা ফি ইলমিল্লাহি সলাতান দা ইমাতান বি দাওয়া মি মূলকিল্লাহ।

*অতঃপর, নিম্নোক্ত এসেম ৫০০ বার পরিবে।
** يا وهاب
উচ্চারণঃ ইয়া ওহ্ হাবু

*** অতঃপর ৫০০ বার আল্লাহু আল্লাহ্ জেকের করিবে।
**অতঃপর, আয়াতুল কুরসি ৩ বার ও আলাম নাশরাহ্ সূরা ১৭ বার পরিবে।
এবং পবিত্র বিছানায় ঘুমাবে।


 মোছাব্বেআতে আশার
সূরা ফাতেহা ৭ বার
সূরা নাস ৭ বার
সূরা ফালাক্ ৭ বার
সূরা এখলাস ৭ বার
সূরা কাফিরুন ৭ বার
আয়াতুল কুরসি ৭ বার
এই দোয়া ৭ বার.  سبحان الله والحمد الله ولااله اللا الله والله اكبر
এই দোয়া ৭ বার. للهم صلي علي محمد وعلي الي محمد
এই দোয়া ৭ বার. اللهم اغفر لي ولوال دي ولا مؤمنين والمؤمنات
     10. এই দোয়া ৭ বার। اللهم عفلا بي وبهم عا جلا واجلا فى الدين والدنيا والا خرة ما انت له اهل ولا تفعل بنيا مولانا مانحنله اهل انك غفور حليم جواد كريم بر رؤف رحيمـ


সম্মানিত পাঠক/পাঠিকা আমরা আপনাদের খেদমতে অনেক কষ্ট করে এই অজিফা লিখে আপনার সু নযরে দিতে পেরে আমাদেরকে​ধন্য মনেকরতেছি।  এই অজিফা " আওলিয়াকুল শ্রেষ্ঠ শামছোল্ আরেফিন, ইমামোল মিল্লাতে অদ্দীন, কোতবে দাওরান হযরত মোর্শেদানা, শাহ্ ছুফি হাফেজ মোহাম্মদ আবদুর রব সাহেব ছিদ্দিকী জৌনপুরী রহঃ" কর্তৃক অনুমোদিত
খাদেমুল কাওম " আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আবুল হাসানাত্ মোহাম্মদ আবদুল হাই "

প্রচারেঃ
** আবদুল মুমিন খাঁন। মোবাইল 01739962845
**মোহাম্মদ হারিচ ডাকুয়া। মোবাইল 01760768924

Comments

Popular posts from this blog

নক্ শেবন্দিয়া ও মোজাদ্দেদিয়া তরিকার শাজরা

        শাজ্ রায়ে তরিকায়ে নক্ শবন্দিয়া                মোজাদ্দাদিয়ার বিবরণ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ আবদুল হাইর পীরঃ হজরত মাওলানা শাহ সূফি হাফেজ মোহাম্মদ আবদুর রব সাহে...

আল্লামা রেজভি সাহেব

পরিচয়ঃ  আধ্যাত্মিক সাধনার ক্ষেত্রে তিনি উজ্জল নক্ষত্র ছিলেন। যিনি শরীয়ত ও মারেফাতের অতি উচ্চ মর্যাদাশালী আল্লাহর অলী। তাঁর পারিবারিক সূত্র থেকে কিংবা কোন দালিলিক ভিত্তি থেকে তাঁর জন্মসাল ও তারিখ সম্পর্কে নির্ভর যোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। তাঁর জীবনী প্রকাশে আত্মনিবেদিত দীর্ঘদিন তাঁর সান্নিধ্য পাওয়া মোশাররফ ভুইয়া জানান তাঁর জন্ম হয়েছিল বৈশাখ মাসের এক তারিখ।সর্বশেষ ধারণা করা হয় তিনি হিজরী ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে প্রায় ১২৮০ হিজরী সনে মোজাদ্দেদে জামান, ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা গাজী আকবর আলী রেজভী সুন্নী আল ক্বাদেরী মাদ্দা জিল্লুহুল আলী বাংলাদেশের ময়মহনসিংহ জেলার লংঙ্কাখলা গ্রামে শুভাগমন করেন। যিনির পিতা ছিলেন একজন সুযোগ্য আলেম, আল্লামা মাওলানা শহর আলী রেজভী সুন্নী আল ক্বাদেরী এবং মাতার নাম আলিমা আক্তার রেজভী। আল্লামা রেজভী সাহেব হুজুর কেবলা এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশের জমিনে আগমন করেন, যখন ইংরেজ শাসন করছিল এই ভারত উপমহাদেশে। মুসলমানদের সমাজে রাসুলে পাকের হাজার হাজার সুন্নাত দাফন করে নতুন নতুন বিদাত চালু করে। এই যুগ সন্ধিক্ষণে তিনি বাতিল ফেরকাদের সাথে মুনাজারা করে হাজার ও ম...

আল্লামা রেজভি সাহেব ২

দুনিয়া থেকে পর্দা গ্রহণের বেলায় কারামাতঃ   মোজাদ্দেদে জামান, ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা গাজী আকবর আলী রেজভী সুন্নী আল ক্বাদেরী মাদ্দা জিল্লুহুল আলী  হুজুর কেবলার দুনিয়া থেকে পর্দা করার আগে জলন্ত কারামত প্রকাশ পেয়েছে। “কারামাতুল আউলিয়াই হাক্কোন” (আকাইদে নছফী, আল্লামা সাদুদ্দিন তাফতাজানি রহঃ) অর্থাৎ অলি আল্লাহরগনের কারামত সত্য। ১)  তিনি আগেই বলতেন যে, আমি রবিবারে পর্দা করবো, ঠিকই তিনি রবি বারে পর্দা করেছেন। ২)  তিনি পর্দা করার আগের দিন,অর্থাৎ শনিবার দিন, তিনির নাতি মুফতি কুদ্দুস রেজভী, মুহাম্মদ রেজভী, মাওলানা বদরুল আমিন রেজভী, সহ আরো অনেকেই ছিল তাদেরকে ডাকিয়া বলিলেন, তোমরা শোন আগামি কাল ঈদের দিন। আর তোমরা খাসী ও আবাল কুরবানী দিও না। আর নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর সুন্নতকে শক্ত ভাবে আকড়ে ধরবে। ৩)  তিনি পর্দা করার আধ ঘন্টা আগেই বলে দিলেন যে, আমি আধ ঘন্টার ভিতরে পর্দা করবো, ঠিকই তিনি আধ ঘন্টার ভিতরে পর্দা করলেন। ৪)  তিনির গোসল করাইলেন আল্লামা মুফতী উহিদুর রহমান রেজভী ও আল্লামা গাজী মান্নান জিহাদী , মুফতী রমজান আলী রেজভী ও পাশে ছিলেন। যখন বাবা...