Skip to main content

Posts

Showing posts from December 31, 2017

পবিত্র মক্কা শরীফ এর ক্লোক টাওয়ার।

সূরা আল ফালাক্ব।

আল্লামা রেজভি সাহেব ২

দুনিয়া থেকে পর্দা গ্রহণের বেলায় কারামাতঃ   মোজাদ্দেদে জামান, ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা গাজী আকবর আলী রেজভী সুন্নী আল ক্বাদেরী মাদ্দা জিল্লুহুল আলী  হুজুর কেবলার দুনিয়া থেকে পর্দা করার আগে জলন্ত কারামত প্রকাশ পেয়েছে। “কারামাতুল আউলিয়াই হাক্কোন” (আকাইদে নছফী, আল্লামা সাদুদ্দিন তাফতাজানি রহঃ) অর্থাৎ অলি আল্লাহরগনের কারামত সত্য। ১)  তিনি আগেই বলতেন যে, আমি রবিবারে পর্দা করবো, ঠিকই তিনি রবি বারে পর্দা করেছেন। ২)  তিনি পর্দা করার আগের দিন,অর্থাৎ শনিবার দিন, তিনির নাতি মুফতি কুদ্দুস রেজভী, মুহাম্মদ রেজভী, মাওলানা বদরুল আমিন রেজভী, সহ আরো অনেকেই ছিল তাদেরকে ডাকিয়া বলিলেন, তোমরা শোন আগামি কাল ঈদের দিন। আর তোমরা খাসী ও আবাল কুরবানী দিও না। আর নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর সুন্নতকে শক্ত ভাবে আকড়ে ধরবে। ৩)  তিনি পর্দা করার আধ ঘন্টা আগেই বলে দিলেন যে, আমি আধ ঘন্টার ভিতরে পর্দা করবো, ঠিকই তিনি আধ ঘন্টার ভিতরে পর্দা করলেন। ৪)  তিনির গোসল করাইলেন আল্লামা মুফতী উহিদুর রহমান রেজভী ও আল্লামা গাজী মান্নান জিহাদী , মুফতী রমজান আলী রেজভী ও পাশে ছিলেন। যখন বাবা...

আল্লামা রেজভি সাহেব

পরিচয়ঃ  আধ্যাত্মিক সাধনার ক্ষেত্রে তিনি উজ্জল নক্ষত্র ছিলেন। যিনি শরীয়ত ও মারেফাতের অতি উচ্চ মর্যাদাশালী আল্লাহর অলী। তাঁর পারিবারিক সূত্র থেকে কিংবা কোন দালিলিক ভিত্তি থেকে তাঁর জন্মসাল ও তারিখ সম্পর্কে নির্ভর যোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। তাঁর জীবনী প্রকাশে আত্মনিবেদিত দীর্ঘদিন তাঁর সান্নিধ্য পাওয়া মোশাররফ ভুইয়া জানান তাঁর জন্ম হয়েছিল বৈশাখ মাসের এক তারিখ।সর্বশেষ ধারণা করা হয় তিনি হিজরী ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিকে প্রায় ১২৮০ হিজরী সনে মোজাদ্দেদে জামান, ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা গাজী আকবর আলী রেজভী সুন্নী আল ক্বাদেরী মাদ্দা জিল্লুহুল আলী বাংলাদেশের ময়মহনসিংহ জেলার লংঙ্কাখলা গ্রামে শুভাগমন করেন। যিনির পিতা ছিলেন একজন সুযোগ্য আলেম, আল্লামা মাওলানা শহর আলী রেজভী সুন্নী আল ক্বাদেরী এবং মাতার নাম আলিমা আক্তার রেজভী। আল্লামা রেজভী সাহেব হুজুর কেবলা এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশের জমিনে আগমন করেন, যখন ইংরেজ শাসন করছিল এই ভারত উপমহাদেশে। মুসলমানদের সমাজে রাসুলে পাকের হাজার হাজার সুন্নাত দাফন করে নতুন নতুন বিদাত চালু করে। এই যুগ সন্ধিক্ষণে তিনি বাতিল ফেরকাদের সাথে মুনাজারা করে হাজার ও ম...

শাহ ওয়ালিউল্লাহ মোহাদ্দেস দেহলভী (রহ) পর্ব ৩

শাহ ওয়ালিউল্লাহ  ( রহ ) – এর কাজ চিন্তাধারা পবিত্র মক্কয় অবস্থানকালে পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম-অমুসলিম রাষ্ট্রর ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উত্থান- পতনের খবরাখবরের আলোকে লব্ধ অভিজ্ঞতা ও আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের সাহাযো শাহ ওয়ালিউল্লাহর নিকট এ বিষয়টি প্রতিভাত হয়ে উঠেছিল যে, জীবনাদশের অন্তনিহিত শক্তি ছাড়া কেবলমাত্র রাষ্টীয় ক্ষমতাই কোন জাতিকে বাচিয়ে রাখতে পারে না। অন্যথায় বহুশত বছর যাত দোর্দন্ড প্রতিাপে শাসনদন্ড পরিচালনা করার পরও মুসলিম মিল্লাতের এ দুরবস্থা কেন? তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, একমাত্র ইসলামের অন্তনিহিত শক্তির দ্বারাই মসলমানরা দুনিয়ার দিকে দিকে বিজয় পতাকা উড্ডীন করতে সমর্থ হয়েছে। কাজেই মুসলিম জাতির উপযোগী রাস্ট্রয় পরিকল্পনা পেশ করার সাথে সাথে ইসলামী শক্তির বাদের একটি যুক্তিযুক্ত ব্যাখাও মানুষের সামনে পেশ করা একান্ত প্রয়োজন। ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন গড়ে তুলতে পারলেই মুসলমানগণ তাদের গৌরবোজ্জল অতীতকে ফরে পাবে-লাভ করবে তার আদর্শ জীবন, আর এভাবেই জাতি হিসাবে বেঁচে থাকতে সমর্থ হবে। রাজতান্ত্রিক পরিবেশের প্রতিকূতার মধ্যে সৃষ্ট বিশেষ এক সকম সুফী ভাবধারার ক্রমবিকাশে...